কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় সাবেক এমপি, ওসিসহ ৩৪ জনের নামে মামলা

কক্সবাজারের চকরিয়ায় আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলম, চকরিয়া থানার সাবেক ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীসহ ৩৪ জনের নামোল্লেখ করে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আরও একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।

চকরিয়া পৌরসভা বিএনপির সভাপতি সাবেক মেয়র নুরুল ইসলাম হায়দার বাদি হয়ে গতকাল রোববার আদালতে দায়ের করা মামলায় ডুলাহাজারা ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদর, সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোছাইন, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলমগীর, আওয়ামী লীগ নেতা ওয়ালিদ মিল্টন, পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ উদ্দিনসহ ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আসামী দেখানো হয়েছে ২০-৩০ জনকে।

নালিশী মামলাটি আমলে নিয়ে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক প্রবাল চক্রবর্তী তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রকীব উর রাজাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

বাদী নুরুল ইসলাম হায়দার এজাহারে দাবী করেছেন ২০১৮ সালের ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর সকাল ১০ টা ও বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমের নেতৃত্বে অভিযুক্ত আসামিরা বাদী নুরুল ইসলাম হায়দারের বসত ঘর ও নির্বাচনী প্রচারণাকালে হত্যার উদ্দেশ্যে বাদীর উপর দুই দফা হামলা করে। এজাহারে বলেন, দাবীকৃত ৫০ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় এবং সরকারি নির্দেশ না মেনে রাজনৈতিক প্রচারণা চালানোর কারণে হামলা করে আসামিরা বাদির কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। মামলার এজাহারে বাদির বসতঘরে লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার এজাহারে ৯ নম্বর বিবাদী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে চকরিয়া থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীকে। তিনি জানান, ঘটনাটি ওইসময় কেউ আমাকে বা থানাকে জানায়নি। এমনকি ঘটনাটি নিয়ে থানা বা আদালতে অভিযোগও করেনি।

এদিকে মামলার এজাহারে ৩৪ জনের নামোল্লেখিত আসামির তালিকায় ৩০ নম্বর আসামি হয়েছে সাদ্দাম হোসেন নামের এক যুবক। তিনি চকরিয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাহারিয়াঘোনা এলাকার বাবু মিয়ার ছেলে। যুবক বাবু একজন লিভার ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী। যুবক সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমি ২০১৫ সাল থেকে মরণব্যাধি ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছি। এই অবস্থায় নোংরা রাজনীতির শিকার হয়ে আমাকে মামলায় আসামি হতে হয়েছে। এই বিচার আমি মহান আল্লাহর কাছে দিলাম।

পাঠকের মতামত: